রাজ্যে সরকারি, সরকারি সাহায্য প্রাপ্ত স্কুল গুলিতে (Upper Primary Teacher ) দীর্ঘ আট বছর ধরে বিভিন্ন আইনি টানাপোড়নের কারণে থেমে রয়েছে শিক্ষক শিক্ষিকা পদে নিয়োগ। তবে খুব শীঘ্রই আগামী মাসে অর্থাৎ আগস্টে জট কাটতে চলেছে এই বিষয়ে। সামনের মাসেই কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) রায়ের পরই প্রায় সাড়ে তেরো হাজার পদে নিয়োগ শুরু হবে। মামলার গতিবিধি দেখে ওয়াকিবহল মহলের দাবি, নিয়োগের পক্ষেই যাবে সেই রায়।
আগামী ১৮ জুলাই আপার প্রাইমারী (Upper Primary Teacher) নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় শুনানি শেষ হলেও সেই সময় বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চ রায়দান স্থগিত রাখে। তবে আশ্বস্ত করা হয় তিন সপ্তাহের মধ্যেই অর্থাৎ ১০-১১ আগস্ট নাগাদ নিয়োগ সংক্রান্ত চূড়ান্ত রায়দান দিতে পারে হাইকোর্ট। তবে আশঙ্কাও থাকছে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিমকোর্টে নতুন করে মামলা দায়ের করে চাকরি বন্ধ করে দেওয়ার।
পশ্চিমবঙ্গ স্কুল শিক্ষা দপ্তর (WBSED) সূত্রে জানা গিয়েছে, আপার প্রাইমারী (upper primary requirement) মোট শূন্যপদ ১৪ হাজার ৩৩৯টি। প্যানেলে নাম রয়েছে ১৩ হাজার ৩৩ জনের। আদালতের নির্দেশে সমস্ত তথ্য খতিয়ে দেখে ৬৩৫ জন প্রার্থীকে বাতিল করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন (WBSSC)। এর মধ্যে ৫৫৯ জনের ওএমআর শিট এবং সার্ভারে প্রাপ্ত নম্বরের গরমিল ধরা পড়ে। ৭৪ জনের ওএমআর শিটে হোয়াইটনার দিয়ে সংশোধন করা। সেই বিকৃত ওএমআর শিটগুলি বাতিল করা হয়েছে। আর বাকি দুজনের বিষয় সংক্রান্ত গরমিল ছিল।
এই বিষয়ে স্কুল সার্ভিস কমিশনের (wbcssc) চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার বলেন, ‘আদালত যদি বলে ৬৩৫ জনকে বাদ দিয়ে নিয়োগ হবে তাই করা হবে তবে এবার একটা ফয়সালা হবেই’।
আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থী মঞ্চের নেতা সুশান্ত ঘোষ বলেন, ‘বহুদিনের প্রতীক্ষার অবসান এবার হতে চলেছে বলে আমরা আশাবাদী’।
রাজ্যের ২৫ হাজার ৭৫৩ জন শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি থাকছে না বাতিল হচ্ছে তার একটা ইঙ্গিত পাওয়া যাবে সুপ্রিম কোর্টের আগামী ৬ আগস্ট এর শুনানিতে। এদিকে দীর্ঘদিন ধরেই রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের বিষয়টি থমকে রয়েছে। নিয়োগ বিধি, প্রাথমিক বিজ্ঞপ্তি, শূন্যপদের প্রাথমিক হিসেব আগেই প্রস্তুত। নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার জটের কারণেই রাজ্য সরকার বিষয়টি নিয়ে অগ্রসর হতে পারছে না। তবে আশা করা যায় এই জটিলতা কাটলেই প্রধান শিক্ষক নিয়োগের দিকে উদ্যোগী হবে সরকার।