WB Education Development : পশ্চিমবঙ্গে সার্বিক শিক্ষার উন্নয়নের জন্য ৩৭ টি পদক্ষেপ অবশ্যই করা উচিত শিক্ষা দপ্তরের। এমনই গুরুত্বপূর্ণ দাবি নিয়ে শিক্ষা দপ্তরকে ডেপুটেশন দিল একটি শিক্ষক সংগঠন। বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার মুখে তাই এই শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো একমাত্র লক্ষ্য হওয়া উচিত। বর্তমান লক্ষ্য হীন শিক্ষা ব্যবস্থাকে আরো ব্যবহার মুখী করার জন্য সার্বিক উন্নয়ন দরকার। এ নিয়ে যে দাবিগুলি তোলা হয়েছে সেগুলি হল-
- সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থাকে রক্ষা করার জন্য সমস্ত শূন্য পদে দুর্নীতিমুক্ত নিয়োগ এবং শিক্ষার অত্যাধুনিক পরিকাঠামো গড়ে তুলতে হবে।
- স্বাস্থ্য সাথী নয়, সকল স্কুল ও মাদ্রাসার শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীদের সরকারি কর্মচারীদের মত ওয়েস্ট বেঙ্গল হেলথ স্কিমের 2014 অধিনে আনতে হবে।
- নতুন পে কমিশন গঠন এর উদ্যোগ এবং এ আই সি পি আই ( AICPI) মেনে মহার্ঘ ভাতা দিতে হবে।
- অবিলম্বে কম্পোজিট গ্রান্ট মিটিয়ে দিতে হবে।
- পর্যাপ্ত শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মী নিয়োগ করে সার্বিক পরিকাঠামোর উন্নতি করে ছাত্রীর অভাবে ধুঁকতে থাকা 8207টি স্কুলগুলিকে রক্ষা করতে হবে।
- সারপ্লাস বদলির ক্ষেত্রে সমস্ত ভ্যাকেন্সি আপডেট করে লিস্ট প্রকাশ করে সুনির্দিষ্ট নিয়মের মাধ্যমে অনলাইনে পোর্টালে বাড়ির কাছাকাছি বদলির সুবিধা দিতে হবে।
- নিয়োগের পাশাপাশি উৎসশ্রী পোর্টালে (Utsashree Portal) ট্রান্সফার প্রক্রিয়া চালু রাখতে হবে।
- মিউচুয়াল ট্রান্সফার (Mutual transfer) প্রক্রিয়া কোন সময় বন্ধ রাখা যাবে না। অবিলম্বে চালু করে দেওয়া দরকার।
স্কুলের কম্পোজিট গ্রান্ট এর জন্য কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রীকে ডেপুটেশন
- বিদ্যালয় গুলিতে নির্দিষ্ট সময়সীমা শেষ হওয়ার পর গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচনের মাধ্যমে পরিচালন কমিটি গঠন করতে হবে।
- স্কুল ও মাদ্রাসার গ্রুপ সি কর্মীদের যোগ্যতমান অনুযায়ী কম্পিউটার প্রশিক্ষিত ও মাধ্যমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশে উন্নীত করে সেই অনুযায়ী পে স্কেল বৃদ্ধি করতে হবে।
- স্কুল ও মাদ্রাসার গ্রুপ ডি কর্মীদের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণী থেকে মাধ্যমিকে উন্নীত করে পে স্কেল বৃদ্ধি করতে হবে।
- চাকরিজীবনে প্রতিবছর 15 টি করে মেডিকেল লিভ দিতে হবে ৩৬৫ দিনের মেডিকেল লিভ সিলিং প্রত্যাহার করতে হবে।
- স্কুল ও মাদ্রাসার সমস্ত শূন্য পদে স্কুল সার্ভিস কমিশন এর মাধ্যমে শিক্ষক ও শিক্ষকর্মী নিয়োগ করতে হবে।
- সমস্ত শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের জন্য আর্ন লিভ চালু করতে হবে।
- গ্রাজুয়েট শিক্ষকদের জন্য সর্বভারতীয় টিজিটি (TGT) স্কেল দিতে হবে।
- পোস্ট গ্রাজুয়েট শিক্ষকদের স্কেল পিজিটি (PGT) অনুসারে দিতে হবে।
- সমস্ত উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলে লাইব্রেরিয়ান নিয়োগ করতে হবে এবং লাইব্রেরিয়ানদের গ্রাজুয়েট স্কেল দিতে হবে।
- অবিলম্বে কেরিয়ার অ্যাডভান্সমেন্স স্কিম ( CAS) চালু করতে হবে।
- সমস্ত প্রাথমিক শিক্ষকদের PRT স্কেল এবং নোশনাল এফেক্ট দিতে হবে।
- পার্শ্ব শিক্ষকদের একটি নির্দিষ্ট বেতন কাঠামো দিতে হবে।
- অবিলম্বে সমস্ত বিদ্যালয় গুলিতে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে।
- শিক্ষা দপ্তরের নির্দেশ থাকা হওয়া সত্ত্বেও এখনো শিক্ষক-শিক্ষা কর্মীদের এরিয়ার প্রদান করা হচ্ছে না। অবিলম্বে তা প্রদান করতে হবে।
- প্রতিটি ডিআই অফিসের দুর্নীতিমুক্ত কাজের পরিবেশ তৈরি করতে হবে। প্রতিটি অফিসে ফাইল ট্রাকিং ব্যবসা চালু করতে হবে।
- এড হক কমিটি ভেঙে দিয়ে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের নির্বাচনের মাধ্যমে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মধ্য থেকে বোর্ড কমিটি করণ করতে হবে।
- ই সার্ভিস বুক দ্রুত চালু করতে হবে।
- আয়কর অনুসারী প্রতিবছর একই নিয়মে সমস্ত জেলায় 26AS আপডেটের কাজটি করতে হবে। বিনামূল্যে ১৬ নম্বর ফর্ম সবাইকে সরবরাহ করতে হবে ।
- অনলাইন প্রক্রিয়ায় পিএফ থেকে লোন নেওয়ায় ব্যবস্থা সরলীকরণ করতে হবে। ট্রান্সফার এর ক্ষেত্রে অতীতের সব সুদ প্রদান করতে হবে ।
- প্রাথমিক জুনিয়র হাই স্কুলের শ্রেণি অনুযায়ী এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলে বিষয় অনুযায়ী শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে।
- সমস্ত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি পদ সৃষ্টি করে নিয়োগ করতে হবে।
- বিদ্যালয় ও মাদ্রাসাগুলিতে স্থায়ী দ্বার রক্ষী হোটেল সুপার নৈশ প্রহরী ও ঝাড়ুদার নিয়োগ করতে হবে।
- কম্পিউটার ও ভোকেশনাল শিক্ষক এস এস কে এম এস কে শিক্ষক অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও শিক্ষা বন্ধুদের নির্দিষ্ট বেতন কাঠামো চালু করতে হবে।
- বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা গুলিতে শিক্ষা বহির্ভূত বহু কাজ জোর করে চাপিয়ে দেওয়া চলবে না।
- সারা রাজ্যে প্রতিটা স্কুলে তৃতীয় ভাষার জন্য নির্দিষ্ট সিলেবাস তৈরি করতে হবে।
- একই শিক্ষকের মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকের দুটি খাতা দেওয়া চলবে না। প্রয়োজনের পরীক্ষকের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে।
- রাজ্যের অনেক জেলার শিক্ষক ও শিক্ষকর্মীরা রুপা ২০১৯ এর ফিক্সেশন কপি এখনো পায়নি। তা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
- বিদ্যালয়ে পার্টটাইম শিক্ষকদের সম্মানজনক বেতনের ব্যবস্থা করতে হবে।
- রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মত শিক্ষক-শিক্ষিকাদেরও ভ্রমণ ভাতা দিতে হবে।
এই প্রসঙ্গে শিক্ষানুরাগী ঐক্যমন্ত্রীর সাধারণ সম্পাদক কিংকর অধিকারী বলেছেন – “সমস্ত বিষয়গুলি মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সেক্রেটারির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তুলে ধরেছি। তিনি সব কিছু শুনেছেন। আমাদের দাবিগুলি তিনি অফিসের স্টাফকে দিয়ে একটি ফাইলে আলাদাভাবে রাখতে বলেছেন সবগুলি নিয়ে তিনি পর্ষদ সভাপতির সঙ্গে আলোচনা করবেন। সেদিন পর্ষদ সভাপতি দক্ষিণ ২৪ পরগনায় মাধ্যমিক পরীক্ষার মিটিং থাকায় উপস্থিত ছিলেন না। বিকাশ ভবনেও একইভাবে বিষয়গুলি তুলে ধরা হয়েছে”।
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ | জয়েন করুন |
আমাদের টেলিগ্রাম গ্রুপ | জয়েন করুন |