Mutual Transfer: শিক্ষক শিক্ষাকর্মীদের ট্রান্সফারের জন্য তৈরি অনলাইন উৎসশ্রী পোর্টাল (Utsashree Portal) বন্ধ থাকার কারণে অফলাইনে মিউচুয়াল ট্রান্সফার (Mutual transfer) পেলেন একজন শিক্ষক ও একজন শিক্ষিকা! অফলাইনে মিউচুয়াল ট্রান্সফার (Mutual transfer) কিভাবে সম্ভব হলো, চলুন তা দেখে নেওয়া যাক।
মিউচুয়াল ট্রান্সফার বা আপোষ বদলি (Mutual transfer) হল একই বিষয়ের অন্তর্গত দুইজন শিক্ষক সর্বসম্মতভাবে যদি একজন অন্যজনের স্কুলে ট্রান্সফার চান। তাহলে তাদের আবেদন করতে হয়, উৎসশ্রী পোর্টালের মাধ্যমে অনলাইনে কিন্তু উৎসশ্রী পোর্টাল বন্ধ থাকার কারণে সেই আবেদন অফলাইনে জমা করা হয় ডিপিএসসিতে।
মিউচুয়াল ট্রান্সফারের (Mutual transfer) রেকমন্ডেশন পেলেন শিক্ষক খুরশেদ আলম, ও শিক্ষিকা সোনালী দত্ত। কিভাবে ট্রান্সফার সম্ভব হলো উৎসশ্রী পোর্টাল (Utsashree Portal) বন্ধ থাকার কারণে এই দুই শিক্ষক ও শিক্ষিকা অফলাইনে মিউচুয়াল ট্রান্সফারের আবেদন জমা দেন ডিপিএসসিতে ও প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদে। অফলাইনে আবেদনের এই ফর্মে সংশ্লিষ্ট ডিপিএসসি কোন পদক্ষেপ করেননি। দীর্ঘদিন ধরে ডিপিএসসিতে এই ফর্ম জমা পড়েছিল।
এরপর ট্রান্সফারের জন্য শিক্ষক খোরশেদ আলম ও শিক্ষিকা সোনালী দত্ত হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। এনাদের আইনজীবী হিসেবে ছিলেন শুভ্র প্রকাশ লাহিড়ী। মহামান্য আদালত নির্দেশ দেন যে এনাদের ট্রান্সফারের আবেদন অফলাইনে প্রসেস করতে হবে এবং যোগ্যতার নিরিখে তাদের ট্রান্সফারের ব্যবস্থা করতে হবে।
পরবর্তীতে সমস্যা হিসেবে দাঁড়ায় এই দুই শিক্ষক ও শিক্ষিকার সার্ভিস কনফার্মেশন ছিল না। উৎসশ্রী ট্রান্সফারের নিয়ম হলো একজন সার্ভিস কনফার্ম শিক্ষক বা শিক্ষিকা বা শিক্ষাকর্মী মিউচুয়াল ট্রান্সফার Mutual transfer বা জেনারেল ট্রান্সফারের জন্য আবেদন করতে পারবেন। পরবর্তীতে এই দুই শিক্ষক ও শিক্ষিকা সার্ভিস কনফার্ম এর তথ্য পেশ করেন। ফলে পরবর্তী পদক্ষেপ হিসাবে এই দুই শিক্ষক ও শিক্ষিকার ট্রান্সফারের সম্মতি দেন আদালত এবং নির্দেশ দেন অফলাইনে মিউচুয়াল ট্রান্সফার (Mutual transfer) প্রসেস করতে হবে।
মিউচুয়াল ট্রান্সফারের (Mutual transfer) উদ্দেশ্যে মাননীয় হাইকোর্টের নির্দেশের পর 13 .05.24 তারিখে অর্ডার পাশ হয়। যে অর্ডারে মাননীয় বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা জানান যে এই দুই শিক্ষকের মিচুয়াল ট্রান্সফারের জন্য হেয়ারিং করতে হবে। পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদ এই দুজন শিক্ষক-শিক্ষিকার মিউচুয়াল ট্রান্সফারের জন্য হিয়ারিং করেন 09.07.24 তারিখ। কত তারিখে শিক্ষক খোরশেদ আলম ও শিক্ষিকা সোনালী দত্ত উপস্থিত ছিলেন।
কোর্ট কেস নম্বর WPA 11337 of 2024 খোরশেদ আলম বনাম পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার। প্রসঙ্গক্রমে বলে রাখি এর আগে মাননীয় বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা প্রাথমিক শিক্ষকদের অফলাইনে মিউচুয়াল ট্রান্সফার প্রসেস করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অর্ডার কপি :Click here
অন্যান্য খবর পেতে : www.msbanglanews.com login করুন।