Sudy Motivationfor child : সন্তানদের পড়াশোনার প্রতি উৎসাহিত (study Motivation for Child) করে তুলতে সঠিক পদ্ধতি ও সঠিক অভ্যাস গড়ে তুললে এটি সহজতর হয়। নিম্নে আমরা ১০ টি কার্যকর টিপস আলোচনা করব, যা সন্তানদের পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ ও দক্ষতা বাড়াতে সাহায্য করবে।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দশটি গুরুত্বপূর্ণ চাকরি যার জন্য সবাই অপেক্ষা করে থাকে
১. পড়াশোনার পরিকল্পনা :
প্রতি সপ্তাহের জন্য একটি পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে । কোন বিষয়গুলো কবে পড়া হবে টা অবশ্যই নির্ধারণ করে নেওয়া উচিত , যেটা দেখে তারা সঠিকভাবে প্রস্তুতি নিতে পারে । প্রতি সপ্তাহের শুরুতে একটি টেবিল তৈরি করতে হবে ,
যেমন; যেখানে প্রত্যেক দিন – এর পড়ার বিষয়গুলো নিখুঁত ভাবে উল্লেখ করা থাকবে । ” আজ তোমার গণিত এবং বাংলা পড়ার দিন ” বলুন।
- নিয়মিত সময় নির্ধারণ : সন্তানদের পড়াশোনার জন্য অবশ্যই একটি নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করা দরকার । নিয়মিত সময়সূচী নির্ধারণ থাকলে তাদের পড়াশোনার প্রতি দক্ষতা বাড়াবে এবং পড়াশোনার প্রতি একটি অভ্যাস গড়ে তুলতে । যেমন; প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬-৭.৩০ পর্যন্ত পড়াশোনার একটি সময় নির্ধারণ করুন । এর মাধ্যমে একটি রুটিন তৈরি হবে । তাদেরকে বলুন ” এটা তোমাদের পড়ার সময় , এই সময়ে আমরা মোবাইল বা টেলিভিশন দেখাতে পারবো না । “
৩. সঠিক প্রযুক্তির ব্যবহার :
শিক্ষামূলক নানারকম অ্যাপস ও ওয়েবসাইট ব্যবহার করে তাদের পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ বাড়াতে উৎসাহিত করুন । তবে প্রযুক্তির ব্যবহার সীমিত সময়ে করা উচিত । এমন অনেক অ্যাপ আছে যেখান থেকে শিক্ষা অর্জন করা যায়।
যেমন; এরকম একটি অ্যাপ হলো Khan Academy । তাদেরকে এটা বলে উৎসাহিত করতে হবে যে ” তুমি এই অ্যাপ – এ পড়লে অনেক কিছু শিখতে পারবে , কিন্তু একবারে ৩০ মিনিটের বেশি নয় “।
৪. নিয়মিত আলোচনা :
সন্তানদের সাথে পড়াশোনার বিষয় গুলি নিয়ে নিয়মিত আলোচনা করুন । তাদের নিয়মিত সমস্যা গুলো সমাধান করতে সাহায্য করুন ।পড়ার পর সন্তানদের সাথে আবার ওই বিষয়গুলো নিয়মিত আলোচনা করুন।
যেমন; ” তুমি কি গণিতের সমস্যা বুঝতে পারছ আসো, একসাথে সমাধান করি “। – এরকম উক্তি করতে হবে সন্তানদের ।
৫ . সৃজনশীলতা উন্মুক্ত করুন :
পড়াশোনার পাশাপাশি সন্তানদের নানারকম সৃজনশীল কার্যক্রমে যুক্ত হতে দিন । এটি তাদের সৃজনশীল করতে সাহায্য করবে ।
যেমন; পড়াশোনার পাশাপাশি শিল্পকলা বা সঙ্গীতচর্চা ইত্যাদি ক্লাসে ভর্তি করুন । ” সপ্তাহে একদিন তোমার সঙ্গীতের ক্লাস আছে , এতে তোমার মন অনেক ভালো হয়ে থাকবে”।
৬. প্রেরণা দিন :
সন্তানের সাফল্যকে স্বীকৃতি দিন এবং তাদের কাজ কর্মের জন্য তাদের প্রশংসা করুন । এর মাধ্যমে তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়বে ।
যেমন; সন্তানের পরীক্ষার ফলাফলের জন্য তাকে পুরস্কার দিয়ে উৎসাহিত করুন । ” তুমি এই পরীক্ষায় ৯০ পেয়েছ, এজন্য আমরা আজ রাতে বাইরের খবর খেতে যাবো “।
৭. নিয়মিত বিশ্রাম :
একটানা না পরে বিশ্রাম নেওয়ার গুরুত্ব বোঝান । ২০-৩০ মিনিট পড়ার পর ৫-১০ মিনিটের বিশ্রাম নিলে মনোযোগ আরও বাড়বে ।
যেমন; পড়ার সময় ২০ মিনিট পড়া এবং ৫ মিনিটের বিরতি নেওয়ার জন্য বলুন । ” পড়ার পর তোমার পছন্দের গান শুনা বা একটু গল্পঃ করে “, এমনভাবে উৎসাহিত করুন ।
৮. ছোট ছোট লক্ষ্য :
সন্তানদের বড় কাজকে ছোট ছোট অংশে ভাগ করে দিন , এর ফলে কাজটি আরও সহজ হবে এবং চাপ কমবে , ফলে তারা পড়াশোনার প্রতি আরও আগ্রহী হয়ে উঠবে ।
যেমন; যদি একটি বড় বই পড়তে হয় , তাহলে সেটাকে অধ্যায়ের মাধ্যমে ভাগ করে দিন ।” আজ প্রথম অধ্যায় পড়, কাল দ্বিতীয় অধ্যায় পড়বে,” এমনভাবে তাদেরকে নির্দেশনা দিন ।
৯. শান্ত পরিবেশ তৈরি :
সন্তানদের পড়াশোনার জন্য একটি নিঃশব্দ ও মনোযোগী পরিবেশ তৈরি করুন । এতে তারা আরও ভালোভাবে মনোযোগ দিতে পারবে, পড়াশোনায়।
বাড়ির একটি শান্ত জায়গা দেখে পড়ার স্থান করুন। সেখানে বই এবং স্টেশনারি থাকবে।” এখানে পড়লে তোমার মনোযোগ বেশি হবে ” এমন ভাবেই তাদের বোঝান ।
১০. আগ্রহের বিষয় :
সর্বপ্রথম সন্তানদের আগ্রহের বিষয় গুলো জানুন এবং সেগুলোকে পড়াশোনা সঙ্গে যুক্ত করুন ।এটি তাদের পড়তে আরও উৎসাহিত করবে যদি সন্তান চাঁদ নিয়ে আগ্রহী হয় তাহলে তাদেরকে Astronomy নিয়ে পড়তে উৎসাহিত করুন । তাদেরকে এরকম বোঝান ” তুমি চাঁদনী একটি বই পড়তে পারো, এতে তোমার পড়ার মজা আরো বাড়বে”।
এই উপায় গুলো অনুসরণ করলে আমার মতে সন্তানের পড়াশোনায় আগ্রহ আরও বৃদ্ধি পাবে এবং তারা একটি শক্তিশালী শিক্ষাবৃত্তি নিজেদের মধ্যে তৈরি করতে সক্ষম হবে । নিজের সন্তানের জন্য সঠিক পদ্ধতি খুঁজে বের করা সবসময় গুরুত্বপূর্ণ।