Primary Teacher A Category scale: প্রাথমিক শিক্ষকদের “এ” ক্যাটাগরি স্কেল নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। দীর্ঘদিন বেতন বৈষম্য নিয়ে ভুগছে প্রাথমিক শিক্ষকরা। এবার হাইকোর্টের মাধ্যমে সেই বৈষম্য দূর হতে চলেছে। কিভাবে দেখুন।
উৎসশ্রী পোর্টাল বন্ধ হওয়ার আগে করা আবেদন পেন্ডিং রাখা যাবে না হাইকোর্ট
বেতন বৈষম্য নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষকরা। তাদের দাবি যোগ্যতা অনুযায়ী তাদের “এ” ক্যাটাগরি স্কেল দিতে হবে। এই জন্য ইন সার্ভিস প্রাথমিক শিক্ষকরা যারা বিএড ডিগ্রী অর্জন করে তারপর শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন তাদের এ ক্যাটাগরি স্কেল দিতে হবে। এই নিয়ে মামলা করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক রাজু দত্ত ও অন্যান্যরা। মামলার কেস নম্বর টি হল WPA 23595 of 2022. এই মামলার আইনজীবী হিসেবে ছিলেন বিক্রম ব্যানার্জি।
ইতিপূর্বে এই একই মামলা করে জয়ী হয়েছেন আরো এক প্রাথমিক শিক্ষক। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে রাজু দত্ত ও অন্যান্যরা এই মামলাটি করেছেন। রাজু দত্ত ও অন্যান্যরা যে মামলাটি করেছেন যারা হুগলি ডিস্ট্রিক্ট প্রাইমারি স্কুল কাউন্সিলের অধীনে প্রফেশনাল কোয়ালিফিকেশন বি এড ডিগ্রী অর্জন করে প্রাথমিক শিক্ষা হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন। তাই ওই সমস্ত শিক্ষকদের নিযুক্ত হওয়ার প্রথম দিন থেকে এ ক্যাটাগরি স্কেল দিতে হবে। এই দাবিতে মামলা করা হয়েছে।
ওই পিটিশনারা মূলত এই মামলা করেছেন যে কেসের ভিত্তিতে সেটি হল 30 July 2024 ( MAT 1038 of 2024 with CAN 1 of 2024, CAN 2 of 2024 and CAN 3 of 2024 in the matter of Waliur Rahaman and others vs The state of west Bengal এর Honorable kolkata High court এর ডিভিশন বেঞ্চের জাজমেন্টের ভিত্তিতে।
ওই জাজমেন্টে পরিষ্কার বলা ছিল বিএড ডিগ্রী নিয়ে প্রাথমিক স্কুলে নিযুক্ত হলে “এ” ক্যাটাগরি স্কেল দিতে হবে। পিটিশনাররা ওই জাজমেন্টের ভিত্তিতে দাবি করেন যে যেহেতু তারাও ওই একই পর্যায়ে রয়েছেন তাই তাদেরও “এ” ক্যাটাগরি স্কেল প্রাপ্য।
উক্ত জাজমেন্ট কপি তে বলা ছিল এইরকম চাকরিপ্রার্থীদের “এ” ক্যাটাগরি স্কেল নিয়ে কমিশনার অফ স্কুল এডুকেশন কে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সেই হিসাবে মহামান্য আদালত 08.10.2024 একটি অর্ডার জারি করেছেন এবং বলেছেন আগামী ১২ সপ্তাহের মধ্যে এই বিষয়ে কমিশনার অফ স্কুল এডুকেশনকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। যদি দেখা যায় ওই পিটিশনাররা 30.07.2024 অনুযায়ী একই রকম ভাবে এই ক্যাটাগরি স্কেল পাওয়ার যোগ্য তাহলে তাদেরকেও এ ক্যাটাগরি স্কেল দিতে হবে।
এই জাজমেন্টের ফলে চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে প্রবল উৎসাহ দেখা দিয়েছে। কারণ মামলাকারীরা যদি ছয় মাসের ব্রিজ কোর্স ছাড়া “এ” ক্যাটাগরি স্কেল পাওয়ার সুযোগ পায় । তাহলে যেসব জেলায় বিএড ডিগ্রিধারী শিক্ষকদের “বি ” ক্যাটাগরি স্কেল দেওয়া হচ্ছে বা হয়েছে তাদের নিযুক্ত হওয়ার প্রথম দিন থেকে এ ক্যাটাগরি স্কেল দিতে হবে। তাহলে একটা ব্যাপক পরিমাণ অর্থ এরিয়ার হিসেবে পেতে পারে শিক্ষকরা। এখন দেখার বিষয় কমিশনার অফ স্কুল এডুকেশন কি সিদ্ধান্ত নেয়।
সহযোগিতায় শুভ তোজো মান্না।