WBCSSC 2016 SLST Recruitment: ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলায় সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলছে। আগামী ১৯শে ডিসেম্বর এই মামলার ফয়সালা হতে পারে। আর তাতেই আশঙ্কার মেঘ দেখছে যোগ্য চাকরিপ্রার্থীরা। অযোগ্যদের ভিড়ে তাদের চাকরি টিকবে তো ? এর জন্য রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন জানালো একটি শিক্ষক সংগঠন কি বলা হয়েছে সেই আবেদনে দেখে নিন!
বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মন্ডল, সম্প্রতি স্কুল শিক্ষা প্রধান সচিব বিনোদ কুমার ও পশ্চিমবঙ্গ স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদারকে ডেপুটেশনের মাধ্যমে আবেদন জানানো হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের ২৬ হাজার চাকরি (2016 slst Recruitment) মামলায় যোগ্যদের পাশে জোরালো ভাবে দাঁড়ানোর আবেদন জানালো।
উৎসশ্রীতে এর আবেদন ফেলে রাখা যাবে না
আগামী ১৯শে ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টে 26 হাজার শিক্ষক মামলার শুনানি হতে চলেছে। ওই দিন শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মীর ভাগ্য নির্ধারিত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। যাতে কিছু পরিমাণ অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের জন্য যোগ্য শিক্ষকরা বঞ্চিত না হন। তার জন্য 5 টি আবেদন রাখা হয়েছে। তাছাড়া নবম দশম ও একাদশ দ্বাদশ শ্রেণির যোগ্য অথচ বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীদের বিষয়টি খতিয়ে দেখার কথা বলা হয়েছে। এর জন্য যে পদক্ষেপ করার কথা বলা হয়েছে তা হলো-
- যোগ্য ও অযোগ্যদের বিভাজন করে সুপ্রিম কোর্টকে জানাতে হবে। এ ব্যাপারে ধোঁয়াশা রাখা যাবে না।
- সিবিআই তদন্ত করে যাদের অযোগ্য বলে চিহ্নিত করেছিল তাদের চিহ্নিত করে আগামী ১৯ শে ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টে লিস্ট জমা দিতে হবে।
- অযোগ্যদের বিভাজন না করলে পুরো প্যানেল বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে যারা প্রকৃত যোগ্য তারা বঞ্চিত হতে পারেন। তার দায় সরকার ও এসএসসির উপর বর্তাবে। আশা করি এমন পদক্ষেপ সরকার করবে না।
- সুপ্রিম কোর্ট অযোগ্যদের চাকরি কেড়ে নিলে যারা যোগ্য এবং অপেক্ষমান তালিকায় রয়েছেন। তাদের যাতে চাকরি দেয়া হয় সে ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টে জোরালো সওয়াল করতে হবে। তা না হলে যোগ্য অথচ বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের প্রতি অবিচার করা হবে।
- সুপ্রিমকোর্টে এই সমস্যার সমাধান হয়ে গেলে দ্রুত শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করতে হবে এসএসসির পক্ষ থেকে। কারণ বহু বিদ্যালয় শিক্ষকের অভাবে ধুঁকছে।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক স্বপন মন্ডল বলেন – “আমরা দাবি জানাচ্ছি যাতে একজন ও যোগ্য শিক্ষক বিপদে না পড়েন, তার জন্য সরকারকে ব্যবস্থা নিতে হবে। একমাত্র সরকারই পারে যোগ্য শিক্ষকদের বাঁচাতে”।