Utsashree Portal Medical Ground pending case: উৎসশ্রী পোর্টালে ট্রান্সফারের আবেদন পোর্টাল সাসপেনশন এর অজুহাত দেখিয়ে পেন্ডিং রাখা যাবে না। এমনই গুরুত্বপূর্ণ রায় দিলেন মাননীয় বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্য। দীর্ঘ দুই বছর পর কোর্ট কেসের মাধ্যমে ট্রান্সফার পেলেন একজন শিক্ষিকা। বিস্তারিত দেখে নেওয়া যাক।
বাংলার শিক্ষা পোর্টালে ছাত্রছাত্রীদের ডাটা এন্টির জন্য অর্থ বরাদ্দ করা হোক দাবি সংগঠনের
কল্পনা মন্ডল বনাম পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার ও অন্যান্যদের করা একটি মামলায় গুরুত্বপূর্ণ রায়দান করেছেন মাননীয় বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্য। এই মামলার কেস নম্বর হলো WPA 25727 of 2024. এই মামলায় আইনজীবী হিসেবে ছিলেন শুভ্রপ্রকাশ লাহিড়ী। শিক্ষিকা কল্পনা মন্ডল তার শারীরিক অসুস্থতার (Medical Ground Teacher Transfer) কারণ দেখিয়ে উৎসশ্রী পোর্টালে আবেদন করেছিলেন ২৯ শে সেপ্টেম্বর ২০২২ সালে। ঐ শিক্ষিকার আবেদন সংশ্লিষ্ট স্কুল অথরিটি পাঠিয়েছিলেন সংশ্লিষ্ট ডিস্ট্রিক্ট ইন্সপেক্টর অফ স্কুলকে।
ডিস্ট্রিক্ট ইন্সপেক্টর অফ স্কুল ওই ট্রান্সফারের আবেদন বিচার করে পরবর্তীকালে ওয়েস্ট বেঙ্গল সেন্ট্রাল স্কুল সার্ভিস কমিশনের কাছে পাঠায়। স্কুল সার্ভিস কমিশনের কাছে ওই আবেদনটি পাঠানো হয়েছিল ২০ শে ডিসেম্বর ২০২২ সালে। ওয়েস্ট বেঙ্গল সেন্ট্রাল স্কুল সার্ভিস কমিশন ওই আবেদন পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আবেদনটি রিজেক্ট করে দেন ২০ শে ডিসেম্বর ২০২২ সালে। কারণ হিসেবে জানানো হয় ওই আবেদনটি এখন প্রসেস করা যাচ্ছে না। কারণ উৎসশ্রী পোর্টাল ২৯ শে সেপ্টেম্বর ২০২২ সালে সাসপেন্ড করা হয়েছে । যেহেতু পোর্টাল বন্ধ রয়েছে তাই এখনই ট্রান্সফার দেওয়া যাবে না। ফলে ওই আবেদনটি তখন থেকে আজ পর্যন্ত স্কুল সার্ভিস কমিশনের কাছে পেন্ডিং রয়েছে।
ফলে শিক্ষিকা কল্পনা মন্ডল মহামান্য হাইকোর্টের কাছে তার ট্রান্সফারের জন্য আবেদন করে কেস করেন। মহামান্য হাইকোর্ট তার আবেদন বিচার বিবেচনা করে পশ্চিমবঙ্গ সেন্ট্রাল স্কুল সার্ভিস কমিশন কে নির্দেশ দেয় যে – আগামী ৮ সপ্তাহের মধ্যে নির্দিষ্ট নিয়ম ও আইন অনুযায়ী ওই শিক্ষিকাকে ট্রান্সফার দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। হাইকোর্টের এই অর্ডার পাওয়ার পর এক সপ্তাহের মধ্যে ওই শিক্ষিকার সঙ্গে যোগাযোগ করে ট্রান্সফার দেওয়ার বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে।
অফিসিয়াল ওয়েবসাইট: Click Here