উৎসশ্রী পোর্টালে ( Utsashree Portal) মেডিকেল গ্রাউন্ড ট্রান্সফারের (Medical Ground transfer) ক্ষেত্রে যে গুরুত্বপূর্ণ রোগ গুলির কথা উল্লেখ রয়েছে। তার মধ্যে থ্যালাসেমিয়া অন্যতম। মেডিকেল গ্রাউন্ড ট্রান্সফারের যে নিয়মে রয়েছে, যদি কোন শিক্ষক তার ও তার পরিবারের কেউ এই সমস্ত কঠিন রোগে আক্রান্ত হন, তাহলে ট্রান্সফারের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
দূরত্বের ভিত্তিতে ট্রান্সফার পেলেন একজন শিক্ষক হাইকোর্টের নির্দেশ
সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের একটি মামলায় রবি চরন দাস বনাম পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার ও অন্যান্যদের করা একটি মামলায় মাননীয়া বিচারপতি অমৃতা সিনহা শিক্ষককে ট্রান্সফারের নির্দেশ দিয়েছেন। কলকাতা হাইকোর্টের কেস নম্বরটি হলো WPA 2019 of 2024 . এই মামলার আইনজীবী হিসেবে ছিলেন শুভ্র প্রকাশ লাহিড়ী। কি হয়েছিল এই মামলাতে?
এই মামলার আবেদনকারী পিটিশনার একজন প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক। ঐ শিক্ষক উৎসশ্রী (Utsashree Portal) পোর্টালে মেডিকেল গ্রাউন্ড ট্রান্সফারের (Medical Ground transfer) আবেদন করেন। কারণ তার পুত্র থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত এবং দীর্ঘদিন ধরে ভুগছেন। পরবর্তীকালে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের আবেদনটি ওয়েস্ট বেঙ্গল বোর্ড অফ প্রাইমারি এডুকেশন এর সেক্রেটারির নিকট পেন্ডিং ছিল।
ওয়েস্ট বেঙ্গল বোর্ড অফ প্রাইমারী এডুকেশনের সেক্রেটারি ওই শিক্ষকের আবেদনের গুরুত্ব যাচাই না করে সেই আবেদন বাতিল করেন। ফলে ঐ শিক্ষক হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন এবং হাইকোর্ট ট্রান্সফারের নির্দিষ্ট নিয়ম অনুযায়ী ও শিক্ষকের ট্রান্সফারের জন্য একটি নির্দেশ জারি করেন। মাননীয়া বিচারপতি অমৃতা সিনহা নির্দেশ যে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যেই ওই শিক্ষকের ট্রান্সফারের বিষয়ে পদক্ষেপ করতে। এবং এ বিষয়ে একটি রিজন্ট অর্ডার ও পাস করা হয়।
হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী ও শিক্ষকের পুত্রের মেডিকেল গ্রাউন্ড (Medical Ground transfer) যাচাই করে শীঘ্রই ট্রান্সফারের জন্য নির্দেশ দেন। আপনারা জানেন যে মেডিকেল গ্রাউন্ড ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে কোন শিক্ষক বা শিক্ষিকার চাকরি জীবনের সময়কাল পাঁচ বছর পূর্ণ না হলেও চলবে। এ নিয়ে বহু অর্ডার ও বের হয়েছে। এ নিয়ে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ থেকে ২০২১ সালের একুশে ডিসেম্বর একটি অর্ডার জারি করা হয়েছিল। সেখানে পরিষ্কার জানানো হয়েছিল মেডিকেল গ্রাউন্ড ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে পাঁচ বছরের সার্ভিস বাধ্যতামূলক নয়।