উৎসশ্রী ট্রান্সফারের (Utsashree Portal) সবথেকে বেশি বঞ্চিত হয়েছেন (single Subject Teacher Transfer) সিঙ্গেল সাবজেক্ট টিচাররা । তবে এবার হাইকোর্টের রায়ে ট্রান্সফারের সুযোগ পেতে চলেছেন সিঙ্গেল সাবজেক্ট টিচার। এমনই একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিয়েছেন মাননীয়া বিচারপতি অমৃতা সিনহা।
উৎসশ্রী পোর্টাল (Utsashree Portal) বন্ধ থাকায় এখন যেকোনো ধরনের ট্রান্সফার কোর্ট কেসের মাধ্যমে হচ্ছে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। সম্প্রতি 24.09.2024 তারিখে কোর্ট কেস নম্বর WPA 2090 of 2024 এর সুদীপ্তা রায় বনাম পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার ও অন্যান্য দের করা একটি মামলায় মাননীয় বিচারপতি অমৃতা সিনহা (justice Amrita Singha) এমনই নির্দেশ দিয়েছেন।
স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগের জন্য মুখ্যমন্ত্রী শিক্ষামন্ত্রী ও কমিশনার কে চিঠি প্রধান শিক্ষকের
এই মামলায় আবেদনকারী একটি স্কুলের সংস্কৃত বিষয়ের শিক্ষিকা। তিনি দীর্ঘ 16 বছর ধরে ওই স্কুলে চাকরি করছেন। বর্তমানে ওই স্কুলে সংস্কৃত বিষয়ে কোনো ছাত্র-ছাত্রী নেই। তাই তিনি তার বাড়ির কাছাকাছি ট্রান্সফারের জন্য উৎসশ্রী পোর্টালে (Utsashree Portal) আবেদন করেন। কিন্তু ডিস্ট্রিক্ট ইন্সপেক্টর অফ স্কুল তার সেই আবেদন নাকচ করে দেন। কারণ হিসেবে জানান তিনি সিঙ্গেল সাবজেক্ট টিচার ( single Subject Teacher Transfer) তাই এই মুহূর্তে তাকে ট্রান্সফার দেওয়া যাবে না। সিঙ্গেল সাবজেক্ট টিচারদের ট্রান্সফার এ নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। এরপর কমিশনার অফ স্কুল এডুকেশন এর কাছে ট্রান্সফারের জন্য আবেদন করেছিলেন কিন্তু তাতেও কোন সুরাহা হয়নি।
আবেদনকারী জানান যেহেতু তিনি সংস্কৃত বিষয়ের শিক্ষক, ওই নির্দিষ্ট স্কুলে পড়ানোর জন্য নিযুক্ত হয়েছেন। কিন্তু বর্তমানে সংস্কৃত বিষয়ে কোনো ছাত্র-ছাত্রী নেই। সে ক্ষেত্রে সেখানে তার চাকরি করা অর্থহীন। তিনি অন্য বিষয়ে পড়ালে তার সাবজেক্টের গুরুত্ব হারিয়ে যাবে।
এর পরে আবেদনকারী হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। হাইকোর্ট সমস্ত বিষয়ে বিচার বিবেচনা করে নির্দেশ দিয়েছিলেন গত ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১ সালে। যাতে ওই শিক্ষিকার বাড়ির কাছাকাছি স্কুলে ট্রান্সফার হয়। তার ব্যবস্থা করার জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু এ ক্ষেত্রেও সেই কোর্টের নির্দেশ মানা হয়নি। পরবর্তীকালে হাইকোর্ট একটি রিজন্ট অর্ডার জারি করেন এবং ৬০ দিনের মধ্যে ঐ শিক্ষিকাকে ট্রান্সফারের ব্যবস্থা করা নির্দেশ দেন।
আইনজীবী হিসেবে ছিলেন শুভ্রপ্রকাশ লাহিড়ী ও বিচারপতি হিসেবে ছিলেন মাননীয়া বিচারপতি অমৃতা সিনহা।