স্কুলে শিক্ষক সমস্যার (Teacher Crisis) জন্য ছাত্র ছাত্রীদের পঠন-পাঠন ব্যাহত হচ্ছে। তাই শিক্ষাদপ্তরকে চিঠি দিয়ে জানালো ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও প্রেসিডেন্ট। রাজ্যের কোথায় এরকম সমস্যা দেখা দিয়েছে, দেখে নেওয়া যাক;
মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে শিক্ষকদের অ্যাটেনডেন্স ডিপারচার ও প্রতিদিনের লেসন প্ল্যান আপলোড করতে হবে।
দীর্ঘ আট নয় বছর ধরে শিক্ষক নিয়োগ না হওয়ায়, স্কুলগুলি শিক্ষকের অভাবে ধুকছে। সেইসঙ্গে ছাত্র ছাত্রীদের পঠন পাঠন ব্যাহত হচ্ছে। বিশেষ করে গ্রামের স্কুলের শিক্ষক সমস্যা আরো প্রকট হচ্ছ। উচ্চ মাধ্যমিক বিভাগে বিভিন্ন বিষয় থাকলেও সেই বিষয়ের শিক্ষক নেই, তাই ওই বিষয়ে অনেকে পড়তে চাইলেও ভর্তি হতে পারছে না । তাছাড়া শিক্ষক সংখ্যা এত কম যে প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত স্কুল চালানো অসম্ভব হয়ে পড়ছে। তাই এই সমস্যা যাতে দ্রুত মেটানো হয় । এর জন্য পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষা দপ্তরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি, মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে চিঠি দিয়ে জানালো, হুগলির আমডোবা শ্রী চরণ ভান্ডারী হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক সমীর কুমার আদক।
এই স্কুলটি হুগলি জেলার গোঘাট এক নম্বর ব্লকের অন্তর্গত সাওড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন আমডোবা গ্রামে অবস্থিত।
এই স্কুলটিতে বেশিরভাগ ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা করে যারা দুস্থ ও দরিদ্র পরিবারভুক্ত ,তপশিলি জাতি, তপশিলি উপজাতি এবং ৪৫% সংখ্যালঘু ছাত্র-ছাত্রীরা। আশেপাশে এই একটিমাত্র বিদ্যালয় যেখানে এই সমস্ত ছাত্রছাত্রীরা পড়াশোনা করতে আসে। কারণ দুস্থ পরিবারভুক্ত হওয়ার জন্য এই সরকার পোষিত স্কুলটি একমাত্র তাদের ভরসা।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক জানাচ্ছেন দীর্ঘদিন ধরে মামলার জেরে স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া আটকে রয়েছে। সেইসঙ্গে উৎসশ্রী ট্রান্সফারের মাধ্যমে বহু শিক্ষক ট্রান্সফার হয়ে অন্যত্র চলে গেছেন। এই কারণে এই স্কুলটিতে বিজ্ঞান, ভূগোল, অংক ও অন্যান্য বিষয়ে শূন্যপদ রয়েছে। কিন্তু পর্যাপ্ত শিক্ষক না থাকার দরুণ ছাত্র-ছাত্রীদের পঠন-পাঠন ব্যাহত হচ্ছে। ফলে ছাত্র-ছাত্রীদের জীবন ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
তাই এই সমস্ত দুস্থ ছাত্র ছাত্রীদের কথা ভেবে যাতে বিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত পরিমাণে শিক্ষক নিয়োগ হয়। তার জন্য পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যালয় শিক্ষাদপ্তর, মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ও ও প্রিন্সিপাল সেক্রেটারিকে অনুরোধ করেছেন। যাতে দ্রুত এই স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ হয়। প্রধান শিক্ষক এও আবেদন করেছেন যদি কোন স্থায়ী বা অস্থায়ী যেকোনো ধরনের শিক্ষক নিয়োগ করা যায় তার ব্যবস্থা করলে তিনি চির কৃতজ্ঞ থাকবেন।
শিক্ষক সমস্যা শুধু হুগলির ওই নির্দিষ্ট স্কুলটিতে নয় শিক্ষক সমস্যা পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত স্কুলগুলিতে বিশেষ করে গ্রামের স্কুলগুলিতে। সম্প্রতি আপার প্রাইমারি নিয়োগ নিয়ে হাইকোর্টের রায়ে কাউন্সিলিংয়ের ঘোষণা করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। যার ফলে কিছুটা শিক্ষক ঘাটতি সমাধান হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। তবে বেশিরভাগ স্কুলে শূন্যপদ থাকলেও এবং তা বারবার ডিআই অফিস মারফত জমা করলেও এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সেই সমস্ত শূন্য পদ গুলি নেওয়া হবে কিনা তা নিয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষকরা ধন্ধে রয়েছেন। সবমিলিয়ে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া রেগুলার হলে এই সমস্যার সমাধান হবে বলে জানা যাচ্ছে। এখন দেখার বিষয় শিক্ষাদপ্তর এ বিষয়ে কি ভূমিকা পালন করেন। সেই দিকে তাকিয়ে রয়েছে সমস্ত স্কুলের প্রধান শিক্ষকরা।
1 thought on “স্কুলে শিক্ষক-শিক্ষিকা (Teacher Crisis) নিয়োগের জন্য শিক্ষাদপ্তরকে চিঠি দিল প্রধান শিক্ষক!”