RATTIERER SAATHI : আর জি কর মেডিকেল কলেজের ঘটনা সমাজের সকল স্তরের মানুষকে জাগ্রত করেছে। সবাই দাবী করছে দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি হোক। সেই সঙ্গে সরকারের ভীত ও নাড়িয়ে দিয়েছে । তাই এই রকম নারকীয় ঘটনা যাতে আর না ঘটে, তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করল পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তর।
পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তর অর্থাৎ স্বাস্থ্য ভবন থেকে গুরুত্বপূর্ণ একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। সেই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে “রাত্রিরের সাথী” (Rattierer saathi) – হেলপারস অফ দা নাইট” নামক একটি ফ্ল্যাগশিপ প্রোগ্রাম চালু করতে চলেছে। যে প্রোগ্রামের মাধ্যমে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত মহিলাদের রাত্রে সুরক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল হোস্টেল প্রভৃতি স্থানে এই নির্দেশিকা কার্যকর করা হবে।
এই নির্দেশিকায়ে কি কি বলা হয়েছে দেখে নেওয়া যাক;
- মহিলাদের জন্য টয়লেট সহ আলাদা বিশ্রামাগারের ব্যবস্থা করা হবে।
- মহিলা ভলেন্টিয়াররা রাতে ডিউটিতে পাহারাদার হিসেবে থাকবেন।
- সিসিটিভির দ্বারা সম্পূর্ণ কভারেজ সহ মহিলাদের নিরাপত্তার জন্য তিনটি নিরাপদ অঞ্চল তৈরি ও চিহ্নিত করা হবে।
- একটি মোবাইল অ্যাপ খোলা হবে। সঙ্গে এলার্ম ব্যবস্থাও থাকবে। এই অ্যাপটি প্রত্যেকটি মহিলাদের ডাউনলোড করে রাখতে হবে। মোবাইলটি লোকাল পুলিশ অফিসার বা কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে যুক্ত থাকবে।
- মহিলাদের সুরক্ষার জন্য হেল্প লাইন নম্বর 100 বা 112 নম্বরে, আতঙ্কিত হলে বা জরুরী সময় ফোন করতে পারবে।
- মহিলাদের সুরক্ষা সুনিশ্চিত করার জন্য সিকিউরিটি চেক ও ব্রেথ এনালাইজার টেস্ট করা হবে।
- যৌন হেনস্থা থেকে মুক্ত থাকতে প্রত্যেকটি সংগঠনের কে অনুরোধ করা হচ্ছে বিশাখা কমিটি তৈরি করার জন্য।
- সরকারি প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন বিষয়ে সচেতনতামূলক কর্মসূচির আয়োজন করা হবে।
- দলবদ্ধভাবে বা জোড়ায় জোড়ায় ডিউটি করার জন্য উৎসাহিত করা হবে জাতি একে অন্যের সহযোগিতা পেতে পারে।
- প্রাইভেট সংস্থাগুলি অবশ্যই “রাত্রিরের সাথী” (Rattierer saathi) প্রটোকলকে মেনে চলার জন্য অনুরোধ করা হবে।
- উপরীপ্ত ব্যবস্থা গুলি ছাড়াও আরো গুরুত্বপূর্ণ কতগুলি পদক্ষেপ করা হয়েছে যেগুলি নিচে দেওয়া হল।
ক) মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও হোস্টেল গুলিতে রাতের বেলা পুলিশি টহলদারি চলবে।
খ) হাসপাতালের সব ফ্লোরে উপযুক্ত পানীয় জলের ব্যবস্থা থাকবে।
গ) মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে স্টাফ, সিকিউরিটি গার্ড ও কর্মচারীদের আইডেন্টি কার্ড দেওয়া হবে।
ঘ) মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও জেলা হাসপাতাল গুলিতে উপযুক্ত পুলিশের ব্যবস্থা করা হবে।
ঙ) মহিলা ও মহিলা ডাক্তারদের কাজের সময় একটানা ১২ ঘণ্টার বেশি রাখা যাবে না।
চ) সম্ভব হলে রাতে মহিলাদের ডিউটি না দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
ছ) মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও হোস্টেলে যে সিকিউরিটি গার্ড দেয়া হবে তা নারী পুরুষ মিলিয়ে দেওয়া হবে।
পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তরের দ্বারা প্রেরিত এই নির্দেশিকা কতটা ফলপ্রসূ হয় সেদিকে সবার নজর থাকবে।
স্বাস্থ্য ভবনের নোটিফিকেশন Click here
অফিসিয়াল ওয়েবসাইট: check Now