How to Identify Joynagar’s Moa: জয়নগরের মোয়া নিয়ে মানুষের আগ্রহের অন্ত নেই। শীতকাল আর জয়নগরের মোয়া খাবেন না, এমন বাঙালি মানুষ খুব কম আছে। জয়নগরের মোয়ার খ্যাতি শুধু পশ্চিমবঙ্গে নয় পড়শি রাজ্য, এমনকি ভারতবর্ষেও এর কদর রয়েছে। বাঙালি সংস্কৃতির সঙ্গে জয়নগরের মোয়া ওতোপ্রোত ভাবে জড়িয়ে রয়েছে।
সূচিপত্র
শীতকাল আসলে পশ্চিমবঙ্গের মিষ্টির দোকান গুলিতে, বাজারে, ট্রেনে, বাসে সব জায়গায় জয়নগরের মোয়া পাওয়া যায় কিন্তু বর্তমান নকলের যুগে আসল জয়নগরের মোয়া চিনবেন কিভাবে? তা নিয়ে অনেকে ধন্দে থাকেন। আজকের জয়নগরের মোয়া চেনার 10 টি উপায় বলে দেব, যাতে আপনাদের নকল কিনে ঠকতে না হয়। জয়নগরের মোয়ার এই গুণগুলি অবশ্যই জেনে নিন।
গন্ধে চেনার উপায়:
বাজার চলতি বিভিন্ন মোয়ার গন্ধ যদি আপনাকে আসল মোয়া চেনাতে অস্বস্তিতে ফেলে । তাহলে অবশ্যই জেনে রাখবেন, জয়নগরের মোয়ার একটি অনন্য সাধারণ প্রাকৃতিক মিষ্টি গন্ধ থাকে। যা গুড় ও তিলের সংমিশ্রণে তৈরি।
মোয়া তৈরির উপাদান:
জয়নগরের মোয়া সাধারণত দুটি উপাদান দিয়ে তৈরি হয়। যা বাজার চলতি অন্যান্য মোয়ার থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। একটি হলো মিষ্টি পাটালি গুড় এবং অন্যটি হলো তিল। গুড়ের গন্ধ এবং তিলের টেক্সচার এই মোয়াকে অনন্য করে তুলেছে। তাছাড়া মিষ্টি ধানের খই লাগে।
মোয়ার রঙ:
বাজার চলতি বিভিন্ন রঙের মোয়া দেখে আপনি বিভ্রান্ত হতে পারেন কিন্তু জয়নগরের প্রকৃত মোয়ার রং হলো সোনালী হালকা বাদামি। এই রং হওয়ার প্রধান কারণ হলো গুড় ও তিলের সংমিশ্রণে তৈরি বলে।
মোয়ার স্বাদ:
বাজার চলতি মোয়া দেখবেন কৃত্রিম রং মেশানো রয়েছে এবং এর স্বাদ খুব মিষ্টি বা একেবারে মিষ্টি কম এইরকম হতে পারে। কিন্তু জয়নগরের মোয়াতে গুড় এবং তিলের সমান সমান ভারসাম্য পরিমাণে থাকবে এবং স্বাদ খুব বেশি মিষ্টি না আবার কম মিষ্টি নয়।
চাকরির খবর: RSMSSB CHO SSC Recruitment apply now
মোয়ার আকৃতি:
বাজারে অনেক বড় বড় মোয়া আপনাকে ধোঁকা দিতে পারে। তাই বিভ্রান্ত না হয়ে জেনে নিন , জয়নগরের মোয়া সাধারণত ছোট ছোট পিস হয় । এই মোয়া গোলাকার হতে পারে বা সামান্য লম্বাটে হতে পারে কিন্তু খুব বেশি বড় হয় না।
জয়নগরের বেশিরভাগ মোয়া হাতে তৈরি হয় তাই এর আকৃতি একটু অস্বাভাবিক হতে পারে বা হাতের চিহ্ন থাকতে পারে। কারখানায় তৈরি মোয়া সাধারণত একই সাইজের হয়ে থাকে।
মোয়ার টেক্সচার:
জয়নগরের মোয়ার টেক্সচার সাধারণত মুচমুচে হয় খানিকটা নরম হয়। তবে একেবারেই ভেঙে পড়ে না। বাজার চলতি মোয়া একটুখানি ভাঙলেই ঝরঝর করে ঝরে পড়ে। মিষ্টির গুণমান অনুযায়ী কিছুটা কম বা বেশি হতে পারে তবে ভারসাম্য বজায় থাকে।
মোয়া প্রস্তুতির কৌশল:
জয়নগরের মোয়া প্রস্তুত করতে মিষ্টি গুড় এবং তিল একসঙ্গে প্যাঁচানো হয় । যা একটি পুরনো কৌশল এই প্রক্রিয়ার জন্য মোয়াটি এত স্বাদ পূণ্য ও গুণমান হয়ে থাকে।
প্যাকেজিংয়ের তফাৎ:
বাজার চলতি মোয়া গুলোর প্যাকেজিংয়ে চটকদারি থাকে। যা দেখে সবাই আকৃষ্ট হতে পারেন। কিন্তু জয়নগরের মোয়া প্রস্তুতকারী বিক্রেতারা প্যাকেজিং করে বিক্রি করলেও বেশিরভাগ দোকানে হাতের তৈরি খোলা মোয়া রাখা থাকে। হাতে তৈরি বলে এই মহুয়ার গুণমান এত তাৎপর্যপূর্ণ।
উৎপত্তিস্থল:
জয়নগরের মোয়া একটি ঐতিহ্যবাহী খাবার, সেখানকার লোকসংস্কৃতির সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে রয়েছে। আপনি যদি জয়নগরের কাছাকাছি মানুষ হয়ে থাকে, তাহলে খুব সহজেই এই মোয়া চিনতে পারবেন কিন্তু দূরবর্তী জেলাগুলির মানুষ এই মোয়া চিনতে একটু বিপাকে পড়বেন।
কিভাবে চিনবেন?
দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর এর মোয়া বিখ্যাত , কিন্তু অন্যান্য জেলাগুলিতে মোয়া বিক্রি হয় জয়নগরের নাম করে। তাই সেই মোয়া কিনে আপনারা ঠকতে পারেন। আসল মোয়া খেতে হলে অবশ্যই জয়নগরে আসতে হবে। তাহলে বাজার চলতি এবং জয়নগরের মোয়ার তফাৎটা বুঝতে পারবেন।
উপরের ১০ টি যে বৈশিষ্ট্যের কথা বলা হলো জয়নগরের ম নিয়ে সেগুলি আপনি একটু ভালো করে গভীর ভাবে দেখলে আপনি নিজেই চিনতে পারবেন। তাই নকল মোয়া কেনার আগে অবশ্যই এই প্রতিবেদনটি দেখুন।