HMPV virus Symptoms in India: বেঙ্গালুরু ও গুজরাটের পর এবার খাস কলকাতায় এইচ এম পি ভি ভাইরাসের (HMPV virus) হদিস পাওয়া গেল। নতুন এই ভাইরাসের উৎপত্তি সেই চীন থেকেই। যার ফলে জনমানুষে দেখা দিয়েছে আতঙ্ক । তাই আতঙ্কিত না হয়ে এই ভাইরাস সম্পর্কে বিস্তারিত দেখে নেওয়া যাক।
সূচিপত্র
HMPV Virus কি?
Human Metapneumovirus হলো একটি অরবিউভাইরাস পরিবারভুক্ত। এই ভাইরাস শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ ঘটাতে পারে। এই ভাইরাস সাধারণত ঠান্ডা, সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি লক্ষণ সৃষ্টি করতে পারে। এই ভাইরাস সাধারণত শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তিদের উপর যাদের ইমিউনিটি কম তাদের শরীরে বেশি আক্রমণ করে। ২০০১ সালে এই ভাইরাসটি প্রথম শনাক্ত করা হয়েছিল।
উৎসশ্রী পোর্টালে মিউচুয়াল ট্রান্সফার শুরুর আগে যে সমস্যাগুলির সমাধান প্রয়োজন
HMPV ভাইরাস কিভাবে ছড়ায়?
HMPV ভাইরাস সাধারণত মানুষের শ্বাসতন্ত্রের তরল যেমন কাশি বা হাঁচির মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে এবং সংক্রমণ ছড়ায়। বাতাসে ভাসমান কণার মাধ্যমে এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তির শরীরের ছড়িয়ে পড়ে।
শিশুদের মধ্যে উপসর্গ:
শিশুদের ক্ষেত্রে এই ভাইরাস অত্যন্ত ভয়ঙ্কর হতে পারে। যা স্বাসতন্ত্রের গুরুতর সমস্যা তৈরি করতে পারে।
এর মাধ্যমে শিশুদের নিউমোনিয়া হতে পারে, যা ফুসফুসে প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে। যার ফলে শ্বাসকষ্ট সৃষ্টি করতে পারে।
এছাড়া ব্রঙ্কাইটিস হতে পারে যা শ্বাসনালীতেই প্রদাহ সৃষ্টি করে।
HMPV ভাইরাসের লক্ষণ:
HMPV ভাইরাসের সাধারণ লক্ষণ গুলি ঠান্ডা বা ফ্লুর মত হতে পারে। তবে কখনো কখনো শ্বাসতন্ত্রের গুরুতর সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে এর লক্ষণ গুলি হল;
- নাক বন্ধ ও সর্দি সমস্যা তৈরি হয়।
- শুকনো কাশি হয় বা সর্দি কাশি একসঙ্গে হয়।
3 . এর প্রভাবে রোগীদের মাঝারি ধরণের জ্বর হতে পারে।
- এর প্রভাবে গলা ব্যথা বা খুসখুস হতে পারে।
- শিশু ও বয়স্কদের শ্বাসকষ্ট শুরু হতে পারে।
- শরীর ব্যথা দুর্বলতা ক্লান্তি দেখা দিতে পারে।
- হালকা বা মাঝারি ধরানোর মাথাব্যথা হবে।
- এর প্রভাবে শরীরে অস্থিরতা তৈরি হতে পারে।
HMPV ভাইরাসের চিকিৎসা:
HMPV ভাইরাসের কোন নির্দিষ্ট অ্যান্টিভাইরাল চিকিৎসা নেই তবে উপসর্গের উপর ভিত্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হয়ে থাকে।
- জ্বর বা মাথাব্যথার জন্য সাধারনত প্যারাসিটামল দেওয়া হয়ে থাকে।
- শ্বাসকষ্ট থাকলে ইনহেলার বা শ্বাস-প্রশ্বাসের উন্নতির জন্য কিছু ওষুধ দেওয়া হয়ে থাকে।
- বয়স্ক শিশুদের শ্বাসকষ্ট বেশি হলে হাসপাতালে ভর্তি হতে পারে
- সর্দি বা কাশি হলে অবশ্যই মাক্স করা উচিত।
HMPV ভাইরাসের প্রতিরোধ:
সাধারণভাবে ঘরোয়া পদ্ধতিতে এই ভাইরাসের মোকাবেলা করা সম্ভব এর জন্য কতগুলি কাজ আপনাদের করতে হবে।
- এই ভাইরাস থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য নিয়মিত হাত ধুতে হবে।
- বারবার চোখ মুখ নাকে হাত দেওয়া যাবে না।
- আক্রান্ত ব্যক্তির থেকে সাধারণত সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। যাতে সংক্রমণটা না ছাড়ায়।
- সর্দি বা কাশি হলে অবশ্যই মাক্স করা উচিত।
HMPV ভাইরাস বয়স্ক শিশুদের পক্ষে গুরুতর হতে পারে, বয়স্ক শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকার জন্য এই ভাইরাসের দ্রুত আক্রমণ করতে পারে। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই ভাইরাস সাধারণ ঠান্ডা লাগার মতো লক্ষণ সৃষ্টি করে এবং কয়েক দিনের মধ্যেই সুস্থ হয়ে যায়।
পরামর্শ:
এ প্রসঙ্গে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মাননীয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন অযথা আতঙ্কিত হবেন না। প্রশাসন তৈরি। HMPV virus নিয়ে কোন গুজবে কান না দেওয়া পরামর্শ মুখ্যমন্ত্রীর।
কর্নাটকের স্বাস্থ্যমন্ত্রী দীনেশ গুড্ডুরাও জানান- “পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এটা নতুন ভাইরাস নয়, আতঙ্কের কিছু নেই। কর্নাটকে এখন মাক্স পরা বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে না। লকডাউনের প্রয়োজন নেই বলে তিনি মনে করেন।
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ | জয়েন করুন |
আমাদের টেলিগ্রাম গ্রুপ | জয়েন করুন |