পশ্চিমবঙ্গের সরকার ঘোষিত ও সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলগুলিতে বাংলা শিক্ষা পোর্টালে (Banglar Shiksha Portal Student data Entry) ছাত্রছাত্রীদের ডাটা এন্ট্রি করতে হয়। এটা খুব সময় সাপেক্ষ কাজ অথচ তার জন্য স্কুল কোন টাকা পায় না শিক্ষা দপ্তর থেকে। তাই স্কুল গুলিকে ছাত্র পিছু ১০ টাকা ও যিনি ডাটা এন্ট্রি করবেন তাকে পাঁচ টাকা করে দেওয়ার আবেদন জানানো হলো কমিশনারকে। APGTWA সংগঠনের পক্ষ থেকে।
সরকার অনুমোদিত স্কুলে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি আবেদন করুন
শিক্ষক সংগঠন ” অল পোস্ট গ্র্যাজুয়েট টিচার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন” এর পক্ষ থেকে স্কুল শিক্ষা কমিশনার ও পশ্চিমবঙ্গ সমগ্র শিক্ষা মিশনের প্রকল্প অধিকর্তাকে দাবিপত্র পাঠানো হলো। সংগঠন এর পক্ষ থেকে ছাত্র পিছু ১০ টাকা বরাদ্দ করার দাবি জানানো হয়েছে। সংগঠন আরও যে সকল বিষয়সমূহ শিক্ষা দপ্তরের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে, সেগুলো হলো :
(১) Banglar Shiksha Portal তে ছাত্র ছাত্রীদের Data Entry সংক্রান্ত বরাদ্দ পৃথকভাবে স্কুল ফান্ডে প্রদান করা হোক।
(২) অনেকসময়ই Circle গুলি সঠিকভাবে যথাযথ মোট ছাত্র ছাত্রী অনুযায়ী মোট টাকা Allotment করে না, তাই স্কুলগুলিকে সরাসরি এই বরাদ্দ প্রদান করা হোক।
(৩) মোট ছাত্র ছাত্রী অনুযায়ী রিকুইজিশন পাঠানো ও Fund ট্রান্সফার প্রক্রিয়া Banglar Shiksha Portal মাধ্যমেই চালু করতে হবে।
(৪) Banglar Shiksha Portal তে ছাত্র ছাত্রীদের Data Entry সংক্রান্ত বিষয়ে স্কুলের জন্য প্রতি ছাত্র-ছাত্রীর জন্য ১০/ টাকা করে পৃথক Allotment এর নোটিফিকেশন প্রকাশ করতে হবে।
(৫) Banglar Shiksha Portal তে ছাত্র-ছাত্রীদের Data Entry সংক্রান্ত বিষয়ে যিনি Data Entry করবেন তার জন্য পৃথকভাবে কমপক্ষে ৫/ টাকা করে ( Per Student) বরাদ্দের নোটিফিকেশন প্রকাশ করা হোক।
(৬) গত তিনটি শিক্ষাবর্ষে যে সকল স্কুলগুলিকে এখনও পর্যন্ত Banglar Shiksha Portal তে ছাত্র-ছাত্রীদের Data Entry বাবদ মোট Allotment টাকা টাকা দেওয়া হয়নি সেই টাকা ডিসেম্বর মাসের মধ্যে প্রদান করার জন্য নোটিফিকেশন প্রকাশ করতে হবে।
(৭) বিক্ষিপ্তভাবে রাজ্যের কিছু সংখ্যক সার্কেলে এই বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে ও অনেক সার্কেলে এই বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে না। এই বিষয়টি সার্বিকভাবে নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে হোক।
যাতে উপরোক্ত দাবিগুলো মেনে সরাসরি স্কুলের একাউন্টে ওই টাকা পাঠানো হয় তার জন্য শিক্ষা কমিশনার ও সমগ্র শিক্ষা মিশনের অধিককর্তাকে দাবি পত্র পেশ করা হয়েছে অল পোস্ট গ্রাজুয়েট টিচার্স ওয়েলফেয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন এর পক্ষ থেকে সম্পাদক চন্দন করাই বলেন – “দীর্ঘদিন ধরে স্কুলকে অন্ধকারে রেখে বাংলার শিক্ষা পোর্টালে স্কুলকে দিয়ে এই সমস্ত কাজ করিয়ে নিচ্ছে শিক্ষা দপ্তর। তার জন্য স্কুলে কোন টাকা পাঠানো হয় না। যাতে দ্রুত এ বিষয়ে নোটিফিকেশন জারি করে টাকা পাঠানো হয়। তার জন্য আবেদন করা হলো”।