Abolition of Detention Policy for Elementary Education: বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে খবর অনুযায়ী পঞ্চম শ্রেণী ও অষ্টম শ্রেণীতে পাশ ফেল প্রথা ফিরিয়ে আনা হলো। সত্যি কি তাই? Detention Policy for Elementary Education থেকে তুলে দেওয়া হলো। মিনিস্ট্রি অফ এডুকেশন, ডিপার্টমেন্ট অফ স্কুল এডুকেশন এন্ড লিটারেসি ১৬ই ডিসেম্বর ২০২৪ এর বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী কি বলা হয়েছে বিস্তারিত দেখে নেওয়া যাক।
সূচিপত্র
এই নোটিফিকেশন সব ক্ষেত্রে প্রযোজ্য:
এই নোটিফিকেশনে পাশ ফেল তুলে দেওয়া নিয়ে Detention পলিসি কেবলমাত্র নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। যে নাম দেওয়া হয়েছে তা হলো Examination of Holdings back in certainly cases অর্থাৎ অর্থাৎ ছাত্র-ছাত্রীরা যদি পরীক্ষায় ফেল করে তাহলে তা পুনঃবিবেচনা করা যাবে রেমেডিয়াল পরীক্ষার মাধ্যমে।
তবে এই পুনঃ বিবেচনার বিষয়টি সমস্ত ক্লাসে প্রযোজ্য নয়। কেবলমাত্র ক্লাস ফাইভ ও ক্লাস এইট এর ক্ষেত্রে।
প্রধান শিক্ষক নিয়োগের চূড়ান্ত সফল হতে যে টিপসগুলি দিয়েছেন শামীম রহমান স্যার দেখে নিন
RTE 2010 রুল এ পরিবর্তন হলো ?
Examination of Holdings back in certainly cases নিয়ে যে নতুন নোটিফিকেশন প্রকাশ করা হয়েছে তা RTE RULES 2010 (Memo no G.S.R 301 (E) 8th এপ্রিল ২০১০ যে সংশোধনী প্রকাশ করা হয়েছিল। সেই সংশোধনীতে একটি বিষয় যোগ করা হলো অর্থাৎ ২০১০ এর Part V এর সঙ্গে যোগ করা হলো Part VA .
নতুন গেজেট নোটিফিকেশনে কি বলা হয়েছে:
আজকের নতুন গেজেট নোটিফিকেশনে নিয়ম অনুযায়ী Right of Children to free & compulsory Education amendment 2024 বলা যেতে পারে।
নতুন নোটিফিকেশন VA কে কি বলা হয়েছে দেখে নেওয়া যায়;
16A তে বলা হয়েছে ছাত্রছাত্রীকে detained করার জন্য কিছু শর্ত আরোপ করা হলো এই নতুন নিয়মে –
- কেবলমাত্র পঞ্চম শ্রেণী ও অষ্টম শ্রেণী একাডেমিক বছর শেষে নিয়মিত পরীক্ষা হবে ।
- ওই পরীক্ষায় যদি কোন ছাত্র-ছাত্রী ফেল করে তাহলে ফলাফল ঘোষণার দু’মাসের মধ্যে আবার ওই ছাত্র-ছাত্রীকে পুনরায় পরীক্ষায় বসার সুযোগ দিতে হবে।
- পুনঃ মূল্যায়ন পরীক্ষায় যদি ওই ছাত্র বা ছাত্রী সফল হতে না পারে। তাহলে ক্লাস ফাইভ বা ক্লাস এইটের ওই ছাত্র বা ছাত্রীকে ফেল করানো যাবে।
- ফেল হওয়া ওই ছাত্র ও ছাত্রীকে স্কুলের শিক্ষক বা অভিভাবক দ্বারা স্পেশাল রিমিডিয়াল ক্লাস করানো হবে।
- প্রধান শিক্ষক এইরকম ফেল করা ছাত্রছাত্রীদের একটা লিস্ট প্রস্তুত করে রাখবেন এবং ওই সমস্ত ছাত্র ছাত্রীদের লার্নিং গ্যাপ গুলো পার্সোনালি মনিটারিং করবেন।
- এক্সাম বা রি এক্সাম এর প্রশ্নপত্র হবে স্মৃতির উপর ভিত্তি না করে দক্ষতা ভিত্তিক।
- ওই ছাত্র বা ছাত্রীকে স্কুল থেকে বহিষ্কার করা যাবে না।
নতুন পলিসি ছাত্রছাত্রীদের সুবিধা হবে:
পাশ ফেল শুধু পঞ্চম শ্রেণী বা অষ্টম শ্রেণীতে নয় প্রথম শ্রেণী থেকে অষ্টম শ্রেণীর পর্যন্ত পাশ ফেল ফেরানো উচিত। ফেল করলে যেহেতু ছাত্রছাত্রীদের স্কুল থেকে বহিষ্কৃত করা যাবে না দুমাসের মধ্যে আবার থাকে পরীক্ষা নিতে হবে। ফলে আর কেউ চাইবে না দুই মাস অপেক্ষা করুক পাশের জন্য।
শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের বক্তব্য:
এ প্রসঙ্গে শিক্ষানুরাগী ঐক্যমন্ত্রীর সাধারণ সম্পাদক কিংকার অধিকারী বলেন- “কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়গুলির ক্ষেত্রে পঞ্চম এবং অষ্টম শ্রেণিতে পুনরায় পাশ ফেল প্রথা ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় সরকারের। কিন্তু সার্বিক ভাবে জাতীয় শিক্ষানীতির পরিবর্তন চাই। সারাদেশের ক্ষেত্রে সমস্ত বোর্ডে যেন তা কার্যকরী হয়।এটা প্রমাণ হলো শিক্ষা জগতের সঙ্গে যুক্ত সবাই – শিক্ষক, শিক্ষাবিদ, অভিভাবকদের পক্ষ থেকে প্রথম থেকেই পাশ ফেল প্রথা তুলে দেওয়ার বিরোধিতা করা হয়েছিল তা সঠিক ছিল। তাকে কর্ণপাত না করেই এই নীতি চালু করা হয়েছিল। সেই সিদ্ধান্ত ভুল ছিল এবং এর ফলে বেশ কয়েকটি প্রজন্ম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে”।
এই নীতি শুধু কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের জন্য নয়, সারা দেশের সমস্ত বোর্ডের ক্ষেত্রে ফিরিয়ে আনা হোক। পাশাপাশি আমরা দাবি করছি এমন শিক্ষা পরিকাঠামো এবং সার্বিক ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে যার মধ্য দিয়ে কোনভাবেই সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থায় ছাত্র-ছাত্রীরা ফেল করবে না। আনন্দের মধ্য দিয়ে কাঙ্খিত মান অর্জনের মধ্য দিয়ে তারা উত্তীর্ণ হবে। আমরা এও দাবি করছি রাজ্য সরকার রাজ্যের ক্ষেত্রেও পাশ ফেল প্রথা ফিরিয়ে আনার কথা ঘোষণা করুক এবং শিক্ষা ব্যবস্থায় সার্বিকভাবে উন্নত পরিকাঠামো গড়ে তুলুক। ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে গুণগত মান ফিরে আসুক।
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ | জয়েন করুন |
আমাদের টেলিগ্রাম গ্রুপ | জয়েন করুন |