Utsashree Portal pending case:উৎসশ্রী পোর্টাল বন্ধের আগের করা আবেদন পেন্ডিং রাখা যাবে না! শিক্ষকদের ট্রান্সফার নিয়ে এমনই গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিলেন হাইকোর্টের মাননীয় বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্য। কোন কোর্ট কেসের ভিত্তিতে এমন নির্দেশ দিলেন দেখে নেওয়া যাক।
দূরত্বের ভিত্তিতে ট্রান্সফার পেলেন সারপ্লাস টিচার কিভাবে দেখে নিন
পশ্চিমবঙ্গের সরকার পোষিত ও সাহায্যপ্রাপ্ত প্রাথমিক মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলগুলির শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের ট্রান্সফারের জন্য উৎসশ্রী পোর্টাল (Utsashree Portal) চালু করেছেন রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে দীর্ঘদিন ধরে উৎসশ্রী পোর্টাল বন্ধ রয়েছে। ফলে শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের ট্রান্সফার আটকে রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। ২০২২ সালে সর্বশেষ ট্রান্সফার প্রক্রিয়া হয়েছিল উৎসশ্রীর মাধ্যমে এরপর থেকে এই পোর্টাল বন্ধ রয়েছে। এই পোর্টালের মাধ্যমে শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের জেনারেল ও মিউচুয়াল ট্রান্সফার হয়ে থাকে অনলাইনে।
বর্তমানে হাইকোর্টের একটি রায়ে জানানো হয়েছে পোর্টাল বন্ধ হওয়ার আগে যে সমস্ত আবেদনগুলি জমা হয়েছিল সেগুলি পেন্ডিং রাখা যাবে না এমনই রায় ঘোষণা হয়েছে। তমালিকা সরকার বনাম পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার এর করা একটি মামলায়। মামলার কেস নম্বরটি হলো WPA 24416 of 2024 . যে মামলায় আইনজীবী হিসেবে ছিলেন শুভ্রপ্রকাশ লাহিড়ী ও মাননীয় বিচারপতি ছিলেন সৌগত ভট্টাচার্য।
তমালিকা সরকার নামে ঐ শিক্ষিকা, তার নিজের বাসস্থান থেকে স্কুলের দূরত্ব বেশি হওয়ার জন্য তিনি উৎসশ্রী পোর্টালে (Utsashree Portal) দূরত্বের ভিত্তিতে ট্রান্সফারের জন্য আবেদন করেন সেই আবেদন স্কুল কর্তৃপক্ষ ডিস্টিক ইন্সপেক্টর অফ স্কুলের( DI) কাছে পাঠিয়েছিলেন । তা হয়েছিল ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২ সালে। তখন উৎসশ্রী পোর্টাল চালুও ছিল এবং কাজও হচ্ছিল। ডিসটিক ইন্সপেক্টর অফ স্কুল ওই শিক্ষিকার আবেদন ওয়েস্ট বেঙ্গল সেন্ট্রাল স্কুল সার্ভিস কমিশনের (wbcssc) কাছে পাঠায় ফাইনাল সিদ্ধান্তের জন্য। ডিস্ট্রিক্ট ইন্সপেক্টর অফ স্কুল ওয়েস্ট বেঙ্গল সেন্ট্রাল স্কুল সার্ভিসকে এই আবেদন পাঠিয়েছিল 26 সেপ্টেম্বর ২০২২ সালে। ওয়েস্ট বেঙ্গল স্কুল সার্ভিস কমিশন ওই শিক্ষিকার আবেদন ফিরিয়ে দিয়েছিলেন ২২ সেপ্টেম্বর 2022 সালে। তখন স্কুল সার্ভিস কমিশন ঐ শিক্ষিকা ট্রান্সফারের ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নেন নি।
এরপর ২৯ শে সেপ্টেম্বর ২০২২ সালে উৎসশ্রী পোর্টাল সাসপেন্ড হয়ে যায়। সেখান থেকে আজও পর্যন্ত ওই আবেদন পেন্ডিং রয়েছে । এরপর ওই শিক্ষিকা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। হাইকোর্ট পরিষ্কারভাবে জানান যে পোর্টাল বন্ধের কারণ দেখিয়ে ট্রান্সফারের আবেদন পেন্ডিং রাখা যাবে না। অতএব এই অর্ডার প্রকাশের পর আট সপ্তাহের মধ্যে ওই শিক্ষিকাকে ট্রান্সফারের যথাযথ ব্যবস্থা করতে হবে।
মাননীয় হাইকোর্টের এই গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশের ফলে যারা উৎসশ্রী পোর্টাল (Utsashree Portal) বন্ধ হওয়ার আগেই আবেদন করে রেখেছিলেন এবং যার নিষ্পত্তি এখনো হয়নি। তারাও হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে পারেন। অর্থাৎ এই কেসে একই রকম রেজাল্ট পাওয়া যাবে। তবে ট্রান্সফারের জন্য আবেদন করবেন কিনা সেটা আপনাদের ব্যক্তিগত বিষয়।